সফট ড্রিংকসের ক্ষতিকর দিক সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে রাখুন

মধু খাওয়ার উপকারিতাসফট ড্রিংকসের ক্ষতিকর দিক ও তা আমাদের দেহে কি কি ক্ষতি করে সে সম্পর্কে আপনারা হয়তো অনেকে খোজাখুজি করেছেন কিন্তু নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য খুঁজে পাননি। এই পোস্টে সফট ড্রিংকসের ক্ষতিকর দিক ও এর সমাধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি যা জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

সফট ড্রিংসের ক্ষতিকর দিক
এখানে আমরা আরও আলোচনা করেছি কোমল পানীয় আমাদের দেহে কি কি ক্ষতি করে এবং এটা থেকে উত্তরণের উপায় সাথে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যা জানতে অবশ্যই এই পোস্টটি আপনাকে মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

ভূমিকাঃ

বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয়। ছোট থেকে বড় সর্বশেষ মানুষের মাঝে এর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। আমরা রিচ ফুড খাওয়ার পরে প্রায় সময়ে সফট ড্রিঙ্কস খেয়ে থাকি। আমাদের ভ্রান্ত ধারণা হলো এই যে আমরা মনে করি সফট ড্রিংস খেলে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় কিন্তু এটা মোটেও সত্য নয়।
প্রথমে সফট ড্রিঙ্কস খেয়ে আমাদের ভালো অনুভূত হলেও এই ড্রিংকসে রয়েছে ফসফরিক এসিড ক্যাফেইন, কৃত্রিম রং, কার্বন ডাই অক্সাইড সহ বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান যা আমাদের শরীরের ক্ষতি সাধন করে। যেমন ওজন বৃদ্ধি করে হাড়কে দুর্বল করে, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়, কিডনির কার্যক্রম কে ব্যাহত করে।

যদিও সফট ড্রিংস আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর তারপরও আমরা কতটা গুরুত্ব দিতে চাই না। কারণ ড্রিঙ্কস খেলে সাথে সাথে আমাদের কোন ক্ষতি হয় না কিন্তু যখন আমাদের শরীর একটা বড় ক্ষতির সম্মুখীন হয় তখন আমরা খুঁজে পাই না যে কিভাবে আমাদের শরীর এত বড় একটা ক্ষতির সম্মুখীন হল।

সফট ড্রিংকস কিঃ

সফট ড্রিংকস বলতে এমন পানিয়কে বোঝায় যা আমাদের তৃষ্ণা মেটায় এবং দেহকে সতেজ রাখে । পানি, চিনি, ফসফরিক এসিড, ক্যাফেইন, কৃত্রিম রং, কার্বন ডাই অক্সাইড সহ বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান দিয়ে সফট ড্রিংস তৈরি করা হয়।

সফট ড্রিংসের তালিকাঃ

  • পেপসি
  • সেভেন আপ
  • কোকাকোলা
  • স্প্রাইট
  • ক্লেমন
  • প্রান আপ
  • মোজো
  • রেড বুল

সফট ড্রিংসের অপকারিতাঃ

সফট ড্রিংকস তৈরিতে যেহেতু অনেক রকমের রাসায়নিক উপাদান বিদ্যমান থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য কখনোই উপকার হয় না । আমরা আমরা যেন সফট ড্রিংসের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানতে পারি এবং সচেতন হতে পারি তার জন্য এখানে বেশ কিছু অপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
ওজন বৃদ্ধি করেঃ সফট ড্রিঙ্কস আমরা যারা প্রতিনিয়ত খাই তাদের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি মেশানো হয় যা ওজন বাড়িয়ে দেয়। মোটা হবার পর আমরা বেশ কিছু শারীরিক সমস্যাতে পড়ি যা হয়তো মোটা না হলে কখনোই হতো না।

হাড় দুর্বল করেঃ কোমল পানীয় খেলে আমাদের শরীরের হাড়ের ক্যালসিয়াম কমে যায় যা হাড়কে দুর্বল ও ভঙ্গুর করে তোলে। কোমল পানীয়তে ফসফরিক এসিড নামে এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান মেশানো থাকে যেটা হাড়ের ক্যালসিয়ামকে কমিয়ে দেয় এই কারণে হাড় দুর্বল হয়ে যায়। কোমল পানিয়র মধ্যে থাকা ক্যাফেইন আমাদের হাড়কে দুর্বল করে।

দাঁতের এনামেল ক্ষয় করেঃসফট ড্রিংকস আমাদের দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে দাঁতগুলোকে স্থায়ীভাবে হলুদ করে ফেলে। বেশি কিছু না শুধুমাত্র এক ঢোক কোকাকোলা এক ঘন্টা মুখে রেখে দিলে দাঁতের এনামেল ক্ষয় হয়ে যাবে। সফট ড্রিমসের ড্রিংসের ঝাঁঝালো স্বাদ বাড়ানোর জন্য এতে ফসফরিক এসিড ব্যবহার করা হয়।

এই এসিড এতটাই শক্তিশালী যে একটা নখ এর মধ্যে ডুবিয়ে রাখলে ৪ দিন পর আর নখ টাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাছাড়া ব্যাকটেরিয়ার প্রভাবেও সফট ড্রিংসে থাকা চিনি এসিড তৈরি করে।

শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতিঃ কোমল পানিয়র তাৎক্ষণিক বিপদ হচ্ছে গলা বা শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি। গলায় নাকে তথা শ্বাসতন্ত্রের শুরুর দিকের অংশে অসংখ্য সেলিয়া থাকে। নিঃশ্বাসের সঙ্গে আমরা যে ধূলিকণা ব্যাকটেরিয়া ভাইরাস গ্রহণ করি সিলিয়া গুলো সেগুলোকে শরীরের মধ্যে ঢুকতে দেয় না।

সফট ড্রিংকস খেলে সিলিয়া গুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে ফলে আমাদের শরীরে দেখা দেয় বিভিন্ন শ্বাস জনিত রোগ। যেমন টোন সিলেটেস্ট টনসিলাইটিস, ল্যারিং জাইটিস, ফেরিং জাইটিস, ব্রংকাইটিস ও নিউমোনিয়ার মত রোগ।

অকালে বুড়িয়ে যাওয়াঃ ৫০ বছর বয়স্ক একজন নারী পুরুষের উপর একটি গবেষণা করা হয় এবং এই গবেষণায় প্রতিদিন তাদেরকে এক কেন বা তার বেশি সফট ড্রিংক পান করতে বলা হয়। চার বছর পরে দেখা যায় তাদের মেটাবলিক সিনড্রোম বেড়ে গেছে ৪৪%। মেটাবলিক সিনড্রোম বাড়লে ডায়াবেটিস হৃদ রোগের ঝুঁকি যেমন বাড়ে তেমনি বেড়ে যায় অকালে বুড়িয়ে যাওয়া।

টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকেঃ যারা কোমল পানীয় পানে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন তাদের টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যাদের ওজন বেশি বা পারিবারিক ইতিহাস আছে ডায়াবেটিসের তারা যে কোন মূল্যে কোমল পানীয় কে এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করুন। কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়ঃ ক্যান্সারের মতো ভয়ংকর রোগের ও ঝুঁকি বাড়ায় আমাদের দেহে কোমল পানীয়। কেরমিলের রং আনার জন্য পলি ইথিলিন গ্লাইকোল নামক এক ধরনের রাসায়নিক উপাদান ব্যবহৃত হয় যা ক্যান্সারের জন্য তাই।

ডায়েট খোলা নামে যে সফট ড্রিংকস বাজারে বিক্রি করা হয় তাদের চিনির পরিবর্তে এসপারটেম নামের কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় যা আমাদের দেহে ব্রেন টিউমার, বন্ধ্যাত্ব, ডায়াবেটিস, মৃগী রোগ ও মানসিক ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে।

কিডনির কার্যক্রমকে ব্যাহত করেঃ অতিরিক্ত কোমল পানীয় পান করলে কিডনির কার্যক্রম ব্যাহত হয়। যদি কেউ এক ঘন্টায় ৪ লিটার কোক পান করে তাহলে সে কিডনি ফেইলর হয়ে মৃত্যুবরণ করবে । যারা প্রচুর পরিমাণে কোমল পানীয় পান করে তাদের স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় কিডনিতে পাথর জমার হার তিনগুণ বেশি হয়। সফট ড্রিংকসে যে স্যাকারিন ব্যবহার করা হয় তা মূত্রাশয়ের ক্যান্সারের কারণ।

হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি করেঃ অতিরিক্ত কোমল পানীয় পান করলে হৃদ রোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি পায়। অতিরিক্ত কোমল পানীয় পান করলে মানুষের ওজন বাড়ে এবং ওজন বাড়লে এই রোগ গুলো হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে । যেমন ব্লাড প্রেসার, হার্ট অ্যাটাক, ক্যান্সার এর মতো ভয়াবহ রোগ। যার পরিণাম হয় অকাল মৃত্যু যা আমাদের কখনোই কাম্য নয়।

বিষন্নতা ও উদ্বেগ বাড়ায়ঃ কোমল পানীয় আমাদের মেজাজকে প্রভাবিত করে। এর ফলে আমরা কখনো বিষন্ন হয়ে পড়ি আবার কখনো বিরক্ত হই। এইসব কোমল পানীয়তে এসপারমটেম মিশানো হয় যা মস্তিষ্কে রাসায়নিক গঠন পরিবর্তন করে আর এই কারণেই আমাদের মেজাজ ফুরফুরা হওয়ার বদলে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

আসক্তি বাড়ায়ঃ প্রতি বোতল সফট ড্রিংকসে ৫০ মিলিগ্রামের মত ক্যাফেইন আছে। ক্যাফেইন আসলে আমাদের মধ্যে আসক্তি সৃষ্টি করে। এটি একবার খেলে মানুষজন এটা খেতে আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। তখন এইটা ছাড়া আর কিছুই ভালো লাগেনা। ক্যাফেইন আমাদের মুডকে সাময়িক চাঙ্গা করলেও রয়েছে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর দিক।

যেমন উচ্চ রক্তচাপ, নার্ভাসনেস,উদ্বেগ প্রবণতা, পেশিতে টান লাগা, অসংলগ্ন কথাবার্তা ইত্যাদি। গবেষণায় দেখা গেছে যে সব গর্ভবতী মহিলা বেশি পরিমাণে সফট ড্রিংকস পান করেন তাদের গর্ভপাত ও কম ওজনের বাচ্চা জন্ম দেওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।

দেহকে পানি শূন্য করে তোলেঃ কোমল পানীয়তে থাকা ক্যাফেইন প্রস্রাবের প্রবণতা বাড়ায় এবং দেহকে পানি শূন্য করে তোলে। তার মানে প্রখর রোদে কোমল পানীয় পান করে আমরা মনে করি যে আমাদের পানি শূন্যতা দূর হয়েছে কিন্তু হয় তার উল্টো। তার চেয়ে আমাদের পানি পান করাটাই ভালো ছিল।

হজমে বাধা দান করেঃ আমরা অনেকেই মনে করি রিচ ফুড খাওয়ার পরে সফট ড্রিঙ্কস খেলে মনে হয় আমাদের খাবার খুব দ্রুত হজম হবে। কিন্তু এটা আসলে ভুল ধারণা। আমাদের দেহে সাধারণত ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় খাবার হজম হয়।

কিন্তু সফট ড্রিংস পরিবেশন করা হয় জিরো ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় যা আমাদের খাবার হজম করা তো দূরে থাক উল্টো তাতে পচন ধরায়। তাছাড়া এসিটিক হওয়ার কারণে সফট ড্রিংস পাকস্থলীর সংবেদনশীল এলাকার ভারসাম্য নষ্ট করে ফেলে। যার ফলে পেটব্যথা বদ হজম টক ঢেকুর ইত্যাদি নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়।

বিশ্বের অনেক দেশেই নিষিদ্ধ এনার্জি ড্রিংকসঃ

বিশ্বের অনেক দেশেই কোমল পানীয় বা এনার্জি ড্রিংস বিক্রি নিষিদ্ধ আছে শুধুমাত্র এর ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে। ২০০৮ সালে সফট ড্রিংকসের ক্ষতিকর দিক বিবেচনায় স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কোমল পানীয় বিক্রির মেশিনগুলো বাধ্যতামূলকভাবে অপসারণ করা হয়। চীন সিঙ্গাপুর সহ অনেক দেশেই এনার্জি ড্রিংস বিক্রি নিষিদ্ধ।

ভারতে ল্যাবরেটরীতে পরীক্ষায় কয়েকটি বিশ্ববিখ্যাত কোম্পানির সফট ড্রিংসে অত্যাধিক মাত্রায় কীটনাশক পাওয়া যায়। যার ফলে মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট ও কেরালায় এসব পানীয় বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। ভারতের উচ্চ আদালত সফট ড্রিংকস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে তাদের উৎপাদিত সফট ড্রিংকস যে ক্ষতিকর নয় তা প্রমাণ করতে বলেছে।

সফট ড্রিংকসের ক্ষতিকর দিক থেকে উত্তরণের উপায়ঃ

উপরোক্ত আলোচনা থেকে নিশ্চয়ই আপনারা বুঝে গেছেন যে সফট ড্রিংস আমাদের জন্য কতটা মারাত্মক ক্ষতিকর । আমাদের নিজেদের শারীরিক সুস্থতার কথা চিন্তা করে সফট ড্রিঙ্কস খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। সফট ড্রিংকস পরিহার করে আমরা বিভিন্ন ফলের জুস খেতে পারি।

এসব ফলের জুস খেতে পারি যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন।আমরা আখের রস খেতে পারি যা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারীও বটে। আমরা ঘোল অথবা লস্যি খেতে পারি। দুটোই দুধ থেকে তৈরি হয় এবং আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।

আমাদের মানসিকভাবে প্রতিজ্ঞা বন্ধ হতে হবে এবং সুস্বাস্থ্যের বিষয় কোনভাবে অবহেলা করা যাবে না। আর তাই আমাদের নিজেদের সুস্থতার জন্যই সফট ড্রিঙ্কস থেকে আমাদের বিরত থাকতেই হবে।

লেখকের মন্তব্যঃ

সফট ড্রিংকস আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। কিন্তু এই কোমল পানীয় আমাদের নিকট এতটাই জনপ্রিয় যে এর ক্ষতিকর দিকগুলো আমরা এড়িয়ে যাই যা আমাদের শরীরের জন্য কখনোই উপকারী হতে পারে না। যারা অসুস্থ আছেন তাদের তো পুরোপুরি সফট ড্রিংকস থেকে দূরে থাকা উচিত।

আর যারা সুস্থ আছেন তারাও যেন পরবর্তীতে বড় রকমের ক্ষতি এড়াতে পারেন তার জন্যই সফট ড্রিঙ্ক পরিহার করা উচিত।আমরা আমাদের শারীরিক সুস্থতার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানে তৈরি কৃত সফট ড্রিঙ্কস পান না করে বিভিন্ন ফলের জুস পান করতে পারি। সফট ড্রিংসের বদলে বিভিন্ন ফলের জুস পান করে আমরা আমাদের শরীরের উপকার করতে পারি।

প্রিয় পাঠক, আপনারা যদি আমার এই পোস্টে দেওয়া তথ্যের মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন তবে প্লিজ এই পোস্টটি পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দেবেন যাতে অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url