কাঁচা হলুদের ভেষজ গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

মেহেদি পাতার ১৬ টি উপকারিতাপ্রাচীন আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে হলুদকে মহা ঔষধ বলা হয়। যদিও কাঁচা হলুদের ভেষজ গুনাগুন সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। হলুদ শুধু জনপ্রিয় মসলায় নয় আমাদের শরীরের বহুমাত্রিক রোগ নিরাময়ে হলুদের যথেষ্ট ব্যবহার রয়েছে যা এই পোষ্টের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো।

কাঁচা হলুদের ভেষজ গুনাগুন
এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আরো আলোচনা করেছি কাঁচা হলুদের ভেষজ গুনাগুন, উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়মসহ প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা। তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

ভূমিকাঃ

আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ সাল থেকে হলুদ রং করার এজেন্ট বা ডাই হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। ভারতের চিকিৎসা শাস্ত্রে বহুদিন ধরে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। কারণ আয়ুর্বেদ ভেষজ শাস্ত্রে এটি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। হলুদকে মিরাকল হার্ব বা অলৌকিক ভেষজ বলা হয়।
হলুদ হল হলুদ গাছের শিকড় থেকে প্রাপ্ত এক ধরনের মসলা। এটি একটি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। হলুদের বৈজ্ঞানিক নাম (Curcuma longa)। হলুদ গাছের আদি উৎস হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া। বাংলাদেশ ও ভারতে ব্যাপক পরিমাণে হলুদ চাষাবাদ হয় এবং রান্নায় এটি ব্যবহৃত হয়। মসলা জাতীয় ফসলের তালিকায় ব্যবহার শীর্ষ রয়েছে হলুদ।

কাঁচা হলুদ অথবা গুড়ো হলুদ দুটোই ব্যাপক পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। হলুদের রয়েছে বহুমাত্রিক ব্যবহার। রান্নার কাজে ব্যবহার করা ছাড়াও ত্বকের যত্নে ও বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে হলুদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কাঁচা হলুদের ভেষজ গুনাগুনঃ

হলুদের ভেষজ গুণাবলীর মধ্যে একটি বিশেষ উপাদান হলো কারকিউমিন। এটি কেবল হলুদেই পাওয়া যায়। এটাকে একটি জাদুকরী উপাদান বলা হয় কারণ হলুদ ত্বকের অধিকাংশ সমস্যা সমাধান করতে পারে। আমেরিকার কৃষি বিভাগের জাতীয় পুষ্টিগুণ তথ্যপঞ্জি মতে, এক টেবিল চামচ হলুদ গুড়ায় পাওয়া যায়, ২৯ ক্যালোরি, ০.৯১ গ্রাম প্রোটিন, ০.৩ গ্রাম চর্বি, ৬.৩১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ২.১ গ্রাম গ্রাম আশ ও ০.৩ গ্রাম গ্লুকোজ। এছাড়াও আমাদের শরীরের দৈনিক চাহিদার ২৬ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ, ১৬ শতাংশ আয়রন, পাঁচ শতাংশ পটাশিয়াম, ৩ শতাংশ ভিটামিন সি এবং সামান্য পরিমাণ ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, কপার ও জিংক।

কাঁচা হলুদের উপকারিতাঃ

  • সর্দি কাশির ক্ষেত্রে হলুদ খুব ভালো কাজ করে। কাশি কমাতে হলুদের রস খেয়ে নিতে পারেন। এক টুকরো হলুদের সাথে মধু মাখিয়ে মুখের ভেতর রেখে দিতে হবে এবং আস্তে আস্তে চুষতে হবে। এতে কাশি উপশম হবে। আর এভাবে যদি না খেতে পারেন তবে এক গ্লাস গরম দুধের সাথে হলুদের গুঁড়ো, সামান্য মাখন ও গোলমরিচ মিশিয়ে পান করতে পারেন। এভাবে কয়েকবার খেলে কাশি ও গলা ব্যথা উভয়েই দূর হবে।
  • হলুদের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ লবণ, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ও আয়রন। তাই হলুদ আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত কাঁচা হলুদের রস সেবন করলে বাচ্চাদের লিউকমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। সুস্থ শরীরেও দুধ ও কাঁচা হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস নিঃসন্দেহে ভালো।
  • কাঁচা হলুদ হল প্রাকৃতিক এন্টিসেপটিক। কাটা এবং পড়া জায়গায় হলুদ বাটা লাগলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায় এবং তাড়াতাড়ি ব্যথা ও দাগের উপশম হয়।
  • হলুদ স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধকারী এবং অন্ত্রের ক্যান্সার নিরাময়কারী।
  • হলুদের ব্যবহার শিশুদের লিউকেমিয়া ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
  • হলুদ ব্যবহার করার ফলে কেমো ড্রাগ এর প্রভাব এবং তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হ্রাস হয়।
  • গবেষণায় দেখা গেছে অগ্ন্যাশয় এর ক্যান্সার উপশমে চমৎকার কাজ করে হলুদ।
  • আমাদের শরীরে টিউমার হওয়া বন্ধ করে এবং নতুন রক্ত উৎপাদন বৃদ্ধি করে।
  • হলুদ আমাদের দেহের চর্বি বিপাকে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণ করে।
  • হলুদ এবং ফুলকপি যখন একসাথে হয় তখন এটা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের বৃদ্ধি বন্ধ করে দেয়।
  • দীর্ঘ বিষন্নতার চিকিৎসা হিসেবে চীন দেশে হলুদের ব্যবহার করা হয় ঔষধ হিসেবে।
  • চর্ম রোগের জন্য হলুদ অত্যন্ত উপকারী। একজিমা এলার্জি বা চুলকানি ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেতে চাইলে কাঁচা দুধের সাথে কাঁচা হলুদ মিশিয়ে পেস্ট করে শরীরের মাখতে হবে।
  • হলুদ আমাদের গায়ের রং ফর্সা ও মসৃণ করে তোলে। আমাদের ত্বকের রং ফর্সা করার জন্য প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কাঁচা হলুদের সাথে দুধ মিশিয়ে খেতে হবে।
  • মুখে জ্বালাপোড়া করলে হলুদের পাউডারের সাথে গরম পানি মিশিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায়।
  • হলুদের একটি উপাদান হলো ‘পলিফেনল’। ‘ক্রনিক অ্যান্টিরিয়ার ইনভেইটিস’ নামক চোখের রোগ সারাতে কাজ করে। এ রোগের প্রকোপে চোখে প্রচন্ড জ্বালা ও প্রদাহ দেখা দেয়।
  • শরীরের কোথাও পুড়ে গেলে হলুদের পাউডার লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
  • আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা মতে হলুদ আমাদের রক্তকে শুদ্ধ করে।
  • পুরাতন ডায়রিয়া বা পেটে গ্যাস হলে হলুদের গোড়া মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
  • হলুদকে কৃমি নাশকও বলা হয়। বয়স অনুপাতে ১৫ থেকে ২০ ফুটা কাঁচা হলুদের রস সাথে সামান্য পরিমাণ লবণ মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হবে। এটি কৃমি দমনে খুবই কার্যকরী ওষুধ।
  • জন্ডিসের জন্য যদি গায়ের রং আকাশে হয়ে যাচ্ছে বোঝা যায় তাহলে বয়স অনুপাতে ৫ থেকে১০ ফোটা থেকে শুরু করে ১ চামচ পর্যন্ত হলুদের রসের সাথে মিশিয়ে খাবার প্রচলন বহু আগ থেকে চলে আসছে। একটু হলুদ গুঁড়া ও এর দ্বিগুণ পরিমাণ দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেলে যকৃতের দোষ ও জন্ডিস ভালো হয়।
  • হামজ্বর সারাতে কাঁচা হলুদ বেশি উপকারী। কাঁচা হলুদ রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে তার সাথে করলা পাতা রস ও অল্প মধু মিশিয়ে খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।
  • হলুদের গুড়ার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমে দুর্বলতা এসব সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়া যায়।
  • ৫/৭গ্রাম কাঁচা হলুদ থেতলে নিয়ে সাথে প্রায় দেড় কাপ মত পানি মিশিয়ে সিদ্ধ করতে হবে এবং এই সিদ্ধ করা পানি অল্প কিছু চিনি দিয়ে পান করলে শ্লেষ্মাজনিত পিপাসা দূর হয়।
  • খাঁটি সরিষার তেল আখের গুড় ও গুঁড়ো হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে চেটে চেটে খেলে হাঁপানি উপশম হয়। তাছাড়া একগ্লাস দুধের সাথে এক চামচ গুঁড়ো হলুদ মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
  • হলুদের গুঁড়া নাকের ভেতর ক্ষত হলে তা সারাতে মহা ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
  • হঠাৎ কোনো কারণে যাদের গলা বসে গেছে বা স্বরভঙ্গ হয়েছে তারা যদি গরম দুধে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে রাতে খান তাহলে ভালো উপকার পাবেন। আবার দুই গ্রাম পরিমাণ হলুদ গুড়ের সাথে অল্প চিনি মিশিয়ে শরবত করে একটু গরম করে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
  • জোকে কামড়ানো ক্ষতস্থান থেকে রক্ত বন্ধ হতে চায় না। সে রক্ত বন্ধ করতে হলে বাটা বা হলুদের গুড়া দিতে হবে।
  • হলুদের মধ্যেই রয়েছে এন্টিসেপ্টিক এবং এন্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান। এটি ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। এটি ব্রণের দাগ এবং লোমকূপ থেকে তেল হওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দেয়। কাঁচা হলুদ বাটা, চন্দন গুড়া ও লেবুর রস মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে যাবার পরে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
  • ২/৩ চিমটি হলুদ গুলার সাথে মাখন মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করুন এবং এটি চোখের নিচে লাগিয়ে রাখুন প্রায় ২০ মিনিট। পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে।
  • তারুণ্য ধরে রাখতে বেসন, কাঁচা হলুদ বাটা ও টক দই মিশিয়ে পেস্ট বানাতে হবে মুখসহ সারা শরীরে লাগাতে হবে না শুকানো পর্যন্ত। শুকানোর পরে এই পেস্ট হালকা ঘষা দিয়ে তুলে ফেলতে হবে। এর ফলে ত্বকের ময়লা পরিষ্কার হয় এবং আমাদের ত্বক তারুণ্য ধরে রাখে।
  • কাঁচা হলুদ সাথে নারকেল তেল বা ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানাতে হবে এবং এই পেস্ট গোসল করতে যাওয়ার আগে পায়ের ফাটার দাগে লাগাতে হবে। এতে পায়ের ত্বক সুন্দর ও নরম থাকবে।

    কাঁচা হলুদের অপকারিতাঃ

    যুগ যুগ ধরে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও আমাদের রান্নাতে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদের যে কত গুন তা আমরা অনেকেই জানি। উপকারের পাশাপাশি কাঁচা হলুদের অপকারিতাও কিছু আছে কিছু। হলুদ নিঃসন্দেহে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারীতবে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে।
    হলুদ আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে রোগের সংক্রমণ ঠেকায়। হলুদের মধ্যে থাকা কিউকারমিন ক্যান্সারও প্রতিরোধ করে। এসব উপকারের কথা চিন্তা করে অনেকেই হয়তো একটানা বছরের পর বছর হলুদ খেয়ে যাচ্ছেন। অনেকে চায়ের সঙ্গে হলুদ আবার দুধের সঙ্গে হলুদ এইভাবে খেয়ে যাচ্ছেন।

    কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে অতিরিক্ত হলুদ খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য ঠিক নয়। শরীরের আয়রন শোষণ করে নেয় অতিরিক্ত হলুদ। তখন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমে যায়। যার ফলে আয়রনের ঘাটতি হয় শরীরে। শুধুমাত্র শরীরের আয়তনের ঘাটতি হতে পারে তা নয় সেই সঙ্গে হজমের সমস্যা হতে পারে।

    খুব বেশি পরিমাণ হলুদ খেলে ত্বকের সমস্যা এবং মাথাধারা হতে পারে। এছাড়াও লিভার বড় হয়ে যাওয়া, আলসার, প্রদাহ এসবও হতে পারে। হলুদের মধ্যে যে কিউকারমিন থাকে তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ভালো কিন্তু বেশি পরিমাণ হলুদ খেলে বা হলুদের সাপ্লিমেন্ট খেলে রক্তপাতের সমস্যা, কিডনি স্টোন ও ডায়াবেটিসের সমস্যা হতে পারে। হলুদের বিদ্যমান কিউকারমিন ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রক্তের শর্করার পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে।

    কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়মঃ

    কাঁচা ও হলুদ খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী কিন্তু যদি তা নিয়ম মেনে খাওয়া হয়। নিয়ম না মেনে হলুদ খেলে উপকারের চাইতে অপকারী বেশি হতে পারে। আমরা যারা শারীরিক উপকারের প্রত্যাশায় হলুদ খেয়ে থাকে তাদের অবশ্যই কাঁচা হলুদ খাওয়ার নিয়ম জানা উচিত।

    • সকালে ও রাতে দুই বেলায় মোট আড়াইশো মিলিগ্রাম হলুদ খাওয়া যেতে পারে। সকালে খালি পেটে হলুদ খাওয়ার পর আধ ঘন্টা অন্য কিছু না খাওয়াই ভালো।
    • রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সঙ্গে হলুদ মিক্স করে খেতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল দুধে যেন হলুদের পরিমাণ বেশি না হয়ে যায়। হলুদের পরিমাণ বেশি হলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে।

    ত্বকের যত্নে কাঁচা হলুদঃ

    হলুদের মধ্যে থাকা এন্টি ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যটি যেকোনো ধরনের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই পেটের অসুখ হোক কিংবা ত্বকের কোন সমস্যা দুটি ক্ষেত্রে হলুদের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খাবারের মাধ্যমে যদি পেটে জীবাণু সংক্রমণ হয় সে ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ গুড় বা মধু দিয়ে খেলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব।
    তাই নয় খালি পেটে প্রতিনিয়ত কাঁচা হলুদ খেলে অল্প বয়সে বুড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। কাঁচা হলুদ অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টিফাঙ্গাল ও এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যার ফলে কাঁচা হলুদের সঠিক ব্যবহারে মুখের ব্রণ ও ব্রণের মতো ত্বক সম্পর্কিত আরো অনেক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে।

    লেখক এর মন্তব্যঃ

    কাঁচা হলুদের ভেষজ গুনাগুন সম্পর্কে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। রান্নার কাজে যত মসলা ব্যবহার করা হয় তার মধ্যে হলুদ হচ্ছে প্রথম সারির মসলা। এটি শুধু রান্নার কাজেই নয় এর রয়েছে বহুমাত্রিক ব্যবহার। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও এ মসলার জুড়ি নেই।

    আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ কোন সমস্যা বা বাহ্যিক কোন ত্বকের সমস্যা সমাধানে হলুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হলুদের এই উপকার নিতে হলে আমাদের অবশ্যই নিয়ম করে পরিমাণ মতো হলুদ খাওয়া উচিত। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও হলুদের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই।

    প্রিয় পাঠক, কাঁচা হলুদের ভেষজ গুণাগুণ সম্পর্কিত এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে যদি আপনাদের কোন উপকারে আসে তাহলে প্লিজ আপনার পরিচিত তাদের মাঝে এটা শেয়ার করে দেবেন।

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url