কিভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করলে সর্বাধিক লাভবান হবেন

গাজরের কিছু বিশ্ময়কর গুনাগুণ সম্বন্ধে জানুন বর্তমান বিশ্বে ক্যাপসিকাম বেশ জনপ্রিয় এবং দরকারি একটি সবজি। বাংলাদেশ এর প্রচলন কিছুটা কম হলেও আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। একজন চাষী কিভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করলে সবাই লাভবান হবেন তা জানে না। তবে আধুনিক চাষ পদ্ধতি মেনে চাষ করলে সর্বাধিক লাভবান হওয়া সম্ভব।
ক্যাপসিকাম চাষ
এ পোষ্টের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করেছি ক্যাপসিকাম কি, কিভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করলে সর্বাধিক লাভবান হবেন, ও এর বাজার দর সম্পর্কে। সুতরাং এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারী পড়ুন

ভূমিকাঃ


ক্যাপসিকাম এর চাষ আমাদের দেশে নতুন হলেও এর জনপ্রিয়তা অনেক। বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্টে ক্যাপসিকামের প্রচুর ব্যবহার হয়। ক্যাপসিকামের এই চাহিদা বেশিরভাগই আমদানির মাধ্যমেই পূরণ করতে হয়। আমাদের দেশে অল্প স্বল্প ক্যাপসিকামের চাষ শুরু হয়েছে কিন্তু আমাদের দেশের চাহিদার জন্যই তা যথেষ্ট না। 
ক্যাপসিকামে ভিটামিন এ এবং প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ফাইবার, এবং অত্যন্ত উচ্চ মানের খনিজ রয়েছে এই ক্যাপসিকামে। ক্যাপসিকামকে অনেকে আবার মিষ্টি মরিচ বলে থাকে।

ক্যাপসিকাম কিঃ


ক্যাপসিকাম হল নাইটশেড পরিবারের একটি ফুলের উদ্ভিদ। একে মিষ্টি মরিচ বলা হয়। মিষ্টি মরিচ বলা হলেও এটি আসলে একটি সবজি। ক্যাপসিকাম বিভিন্ন আকৃতির ও আকারের হয়ে থাকে। তবে ফল সাধারণত গোলাকার ও পুরু ত্বক হয়। লাল, হলুদ ও সবুজ এই তিন রঙের ক্যাপসিকাম দেখা যায়। ক্যাপসিকাম এর উৎপত্তিস্থল আমেরিকায়। তবে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় চীনে।


ক্যাপসিকাম এর উন্নত জাত ও এর পুষ্টিমানঃ


ক্যাপসিকাম এর বেশ কিছু উন্নত জাত এবং কিছু হাইব্রিড জাত রয়েছে। উন্নত জাতের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া ওয়ান্ডার, ইয়োলো ওয়ান্ডার এবং হাইব্রিড জাতের মধ্যে রয়েছে ম্যানহাটন, অনুপম ভারত, রতন, মহাভারত, মানহেম-৩০১৯, মানহেম-৩০২০ ইত্যাদি। 

পুষ্টিমান বিবেচনায় এটি একটি অতি পুষ্টি মানসম্পন্ন সবজি। ১০০ গ্রাম ক্যাপসিকামে রয়েছে ৮৬০ মিলিগ্রাম প্রোটিন, ৪.৬গ্রাম কার্বোহাইড্রেট,১.৭০ মিলিগ্রাম চর্বি, ৮০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ৩৭০আই ইউ ভিটামিন এ। এছাড়াও রয়েছে সামান্য পরিমাণ ভিটামিন ই, ভিটামিন কে, ভিটামিন বি-৬ থায়ামিন ও ফলিক অ্যাসিড।

ক্যাপসিকামের আধুনিক চাষ পদ্ধতিঃ

জমি প্রস্তুত ও চাষের সময়ঃ জমি প্রস্তুত করার জন্য প্রথমে মূল জমিতে ৪/৫টি চাষ দিয়ে জমি প্রস্তুত করে নিতে হবে এবং জমিতে যেন আগাছা না থাকে। চাষের সময় শতক প্রতি ২০ কেজি গোবর সার ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। ভালো জল নিষ্কাশন ব্যবস্থাযুক্ত দোআঁশও বেলে দোআঁশ মাটি ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উত্তম। 

কুয়াশা যুক্ত শীতের আবহাওয়া, বছরে ৬০- ১২০সেমি. বৃষ্টিপাত এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোক ক্যাপসিকাম চাষের জন্য খুবই উপযোগী। ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার বেশি হলে ক্যালসিয়াম ক্যাপসিকাম ভালো হয় না। খুব বেশি তাপমাত্রা অথবা খুব বেশি বৃষ্টিপাত ক্যাপসিকাম চাষের জন্য ভালো না। ক্যাপসিকাম এর বীজ বপনের উপযুক্ত সময় হল অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত। 
কিন্তু আমাদের দেশের কৃষকরা বারোমাসি এটি চাষ করার চেষ্টা করছেন। অক্টোবর থেকে নভেম্বর উপযুক্ত সময় হলেও কেউ কেউ বেশি দাম পাওয়ার আশায় অগ্রিম চাষ করে থাকেন।


চারা তৈরি ও বীজের পরিমাণঃ ক্যাপসিকামের চারা তৈরি করার জন্য বীজ বোনার উপযুক্ত সময় অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত। প্রতি শতকের জন্য ১ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়। ক্যাপসিকাম থেকেও এর বীজ সংগ্রহ করা যায় আবার বাজার থেকেও বীজ কিনতে পাওয়া যায়। বীজতলা করার জন্য খোলামেলা জায়গা সারাদিন যেখানে সারাদিন রোদ পাই এবং সেচের সুবিধা আছে এরকম জমি বীজতলার জন্য উপযুক্ত। 

বীজ বোনার ১০/১৫দিন আগে বীজতলার মাটি কুপিয়ে দিয়ে রোদ খাওয়াতে হবে। ২৫*৪ফুট বীজ তোলার জন্য ১৫/২০ কেজি গোবর সার এবং ৫০০ গ্রাম সুফলা সার প্রয়োজন। মূল জমি থেকে বীজতলা ছয় ইঞ্চি উঁচু রাখতে হবে। বীজতলা শোধন করার জন্য জৈব সার এর সাথে ৫০ গ্রাম হিসেবে কার্বফুরান-৩জি বীজ তলার মাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে এবং প্রতি লিটার পানিতে ৪ গ্রাম কপার অক্সি ক্লোরাইড মিশিয়ে বিচতলার মাটি ভালোভাবে ভিজিয়ে দিতে হবে। 

বীজতলা প্রস্তুত হয়ে গেলে বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসা বীজ ১২ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখার পরে বীজ তলায় বীজ বুনতে হবে। এখানে বীজ থেকে বীজের দূরত্ব হবে ১-১.৫ ইঞ্চি এবং সারি থেকে সারির দূরত্ব ২ ইঞ্চি। বর্ষার হাত থেকে বীজতলা কে রক্ষার জন্য চার থেকে পাঁচ ফুট উঁচুতে পলিথিন দিয়ে ছাউনি দিতে হবে। চারা বের হওয়ার পর প্রতি লিটার পানিতে ২.৫গ্রাম ম্যানকোজেব (ডাইথেন এম-৪৫) জাতীয় ওষুধ দিয়ে নিয়মিত স্প্রে করতে হবে। 

৫/ ৬ সপ্তাহে চারা গুলো মূল জমিতে লাগানোর উপযুক্ত হবে। বীজ তলায় উৎপাদিত সুস্থ এবং সবল চারা গুলোই মূল জমিতে লাগানো উচিত। কেননা সুস্থ সবল চারা থেকেই কেবল ভালো ফল পাওয়া যায় এবং ভালো ফলন আশা করা যায়।


বীজ রোপন ও সার প্রয়োগঃ এরপর মূল জমি চাষ এবং মই দিয়ে ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে এরপর বেড তৈরি করতে হবে। প্রতিটি বেড চওড়া হবে ২.৫ ফুট এবং মাঝখানে নালা রাখতে হবে। গাছ থেকে গাছের দূরত্ব হবে ১.৫ ফুট। সাধারণত ৩০ থেকে ৩৫ দিনের চারা বেডের রোপণ করা হয় এবং বিকেলে রোপণ করা উত্তম। 

প্রতি শতক জমির জন্য ৪০ কেজি গোবর সার, ইউরিয়া ১ কেজি, টিএসপি ১.৪ কেজি, এমওপি ১ কেজি, দস্তা ২০ গ্রাম, জিপসাম ৪৫০ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে। এরমধ্যে অর্ধেক গোবর সার জমি তৈরীর সময়, বাকি অর্ধেক গোবর সম্পূর্ণ টিএসপি, দস্তা, জিপসাম, ১/৩ ভাগ এমওপি এবং১/৩ ভাগ ইউরিয়া চারা রোপনের গর্তে প্রয়োগ করতে হবে। বাকি২/৩ ভাগ ইউরিয়া এবং এমওপি পরবর্তীতে দুই ভাগে ভাগ করে চারা রোপনের ২৫ এবং ৫০ তম দিন প্রয়োগ করতে হবে। 

যেহেতু ক্যাপসিকাম জলবদ্ধতা এবং খরা দুটোই সহ্য করতে পারে না তাই প্রয়োজন অনুযায়ী জমিতে সেচ দিতে হবে। গাছের ফল ধরা শুরু হলে ফলের ভারে গাছ জানে হেলে না পড়ে তার জন্য গাছে খুঁটি দিতে হবে। এবং জমি সব সময় আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।


ফল সংগ্রহ ও রোগবালায়ঃ জমিতে চারা রোপনের ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা শুরু হয়। যা পরবর্তী এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত চলমান থাকে। ক্যাপসিকাম সাধারণত সবুজ অবস্থায় জমি থেকে সংগ্রহ করা হয়। সাধারণত সপ্তাহে একবার ফল সংগ্রহ করা হয়। ফল সংগ্রহের পর তা ঠান্ডা স্থানে রেখে বাজারজাতের জন্য প্যাকেজিং করা হয়। 

ফল সংগ্রহের সময় সামান্য পরিমাণে বোটা রেখে দিতে হয়। লাল ক্যাপসিকাম পেতে হলে জমিতে রেখে দিলে নির্দিষ্ট সময় পর তা পেকে লাল হয়ে যায়। যেহেতু এটি মিষ্টি মরিচ তাই এর বেশ কিছু রোগবালা এবং পোকার আক্রমণ দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে জাব পোকা, থ্রিপস পোকা, লাল মকড়, ব্লাইট রোগ ইত্যাদি। এসব রোগের আক্রমণ হলে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। 
আপনি চাইলে প্রাকৃতিকভাবে তৈরিকৃত একটি দ্রবণ নিয়মিত স্প্রে করতে পারেন। এতে আপনার ওষুধ কেনার খরচ অনেকটাই কম হবে। দ্রবণটি হল এক চামচ সাবান গুড়া,নিম তেল এক টেবিল চামচ নিয়ে এক লিটার পানিতে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে এবং এটি নিয়মিত প্রতি সপ্তাহে একবার সম্পূর্ণ গাছে স্প্রে করতে হবে। প্রাকৃতিকভাবে তৈরিকৃত দ্রবণ ব্যবহার করলে কীটনাশকের খরচ অনেকটাই কমে যায় এতে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। 

তবে প্রাকৃতিক দ্রবণের পাশাপাশি কীটনাশকও ব্যবহার করা উচিত। এমন কিছু পোকামাকড় আছে যা হয়তো প্রাকৃতিক দ্রবণে মারা যাবে না সে ক্ষেত্রে ফল নষ্ট হবার আগেই কীটনাশক ব্যবহার করা উচিত। কারণ কোনভাবে ফল ছিদ্র করে দিলে সে ফলটা আর বাজারে বিক্রি হবে না।

ক্যাপসিকাম এর বাজার দরঃ


ক্যাপসিকাম এর বাজার দর যথেষ্ট ভালো। অন্য যেকোনো সবজির চেয়ে এই সবজির দাম অনেক বেশি থাকে। স্থানীয় বাজারগুলোতে ক্যাপসিকাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজির মধ্যে পাওয়া যায়। তবে এই দাম ঢাকা শহরে আরো কিছু বেশি। ক্যাপসিকাম এর সিজনে এটি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া গেলেও অফ সিজনে এটি প্রায় ৫০০ টাকা কেজি পর্যন্ত হয়। 

সিজনে যদি ক্যাপসিকাম কোল্ড স্টোরে সংরক্ষণ করা যায় তবে এটি আরো লাভজনক হতে পারে কৃষকের জন্য। বাংলাদেশে ব্যবহৃত ক্যাপসিকাম এর মধ্যে বেশির ভাগই আমদানি করা হয়।বিদেশ থেকে আমদানিকৃত ক্যাপসিকাম গুলো দেখতে অনেক সুন্দর এবং সাইজে বড় হয়। কারণ তারা গ্রীন হাউসে ক্যাপসিকাম উৎপাদন করে। 

এর ফলে পণ্যের কোয়ালিটি অনেক সুন্দর হয়। তথাপি আমাদের দেশে কৃষকরা ক্যাপসিকাম খোলা মাঠে উৎপাদন করে। এর ফলে ক্যাপসিকাম এর সাইজ কিছুটা ছোট হয় দেখতেও বিদেশি ক্যাপসিকাম এর মত অতটা আকর্ষণীয় হয় না। এর ফলে আমাদের দেশের কৃষকরা দাম কম পায় এবং প্রতিযোগিতায় টিকতে পারেনা। 

তাই প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে আমাদের দেশের কৃষকদেরও পলি হাউস বা গ্রিনহাউস তৈরি করে সেখানে ক্যাপসিকাম উৎপাদন করা উচিত।সবুজ ক্যাপসিকাম এর চেয়ে পাকা অর্থাৎ লাল ক্যাপসিকাম এর দাম বেশি। আর লাল ক্যাপসিকাম খোলা মাঠে তৈরি করা একটি রিস্কি ব্যাপার কারণ ক্যাপসিকাম পাকানোর জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় গাছে ফল রাখতে হয়। খোলা মাঠে ফল নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। 

সেজন্য পলি হাউসে ক্যাপসিকাম পাকানোর ব্যবস্থা করা হয় তবে সেখানে নষ্ট কম হয়। পণ্যের গুণগত মান ভালো হয় এবং দেখতেও আকর্ষণীয় হয় সুতরাং বাজার দর ভালো পাওয়া যায় । কৃষকদের যদি পলি হাউসে ক্যাপসিকাম চাষ এর ট্রেনিং করানো হয় তাহলে তাদের জন্য এই ক্যাপসিকাম চাষ আরো সম্ভাবনাময় হয়ে উঠবে।

ক্যাপসিকাম চাষ কত লাভজনকঃ


ক্যাপসিকাম যথেষ্ট লাভজনক একটি ফসল। এটি একটি বিদেশী ফসল আমাদের দেশে চাষাবাদ শুরু হয়েছে। তবে বেশিরভাগ আমাদের আমদানি করতে হয়। আমরা যদি সঠিক পন্থা অবলম্বন করে ক্যাপসিকাম চাষ করি তবে লাভ করা সম্ভব। ভালোভাবে যত্ন নিয়ে চাষ করলে বিঘা প্রতি ৬ থেকে ৮ টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। 
শংকর জাতের ক্যাপসিকাম চাষ করা ভালো কারণ এর ফলন অধিক বেশি। স্বাভাবিক সময়ের চাইতে একটু অগ্রিম এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এর যথেষ্ট বাজার মূল্য পাওয়া যায়। সুতরাং ঠিকমত ক্যাপসিকাম চাষ করতে পারলে এটা অবশ্যই লাভজনক একটি ফসল।

লেখক এর মন্তব্যঃ


ক্যাপসিকাম একটি বিদেশি ফসল। তবে এটি আমাদের দেশে এখন চাষ হচ্ছে এবং কৃষকরা এটি বারোমাসি চাষ করা যায় কিনা সে চেষ্টা করছেন। এটি একটি পুষ্টি সম্পন্ন সবজি। এটি একটি উচ্চমূল্যের সবজি। যেহেতু আমাদের দেশে উৎপাদন কম হয় আমাদের বিদেশ থেকে আমদানি করা লাগে। তাই এটি উৎপাদন করতে পারলে এর বাজার মূল্য বেশি পাওয়া সম্ভব। বিভিন্ন বড় বড় রেস্টুরেন্ট এগুলো সালাত হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

প্রিয় পাঠক, আধুনিক উপায়ে কিভাবে ক্যাপসিকাম চাষ করলে আমরা সর্বাধিক লাভবান হতে পারব সে বিষয়ে এখানে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যদি আপনাদের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url